কোরবানি ঈদ কবে হতে যাচ্ছে
বিশ্ব নবীর জীবনী সংক্ষিপ্ত আকারে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, কোরবানি ঈদ কবে হতে যাচ্ছে। কোরবানি ঈদ কবে, কোরবানি দেওয়ার সঠিক নিয়মকানুন, কোরবানি দেওয়ার সময় দোয়া কালাম। এই সকল বিষয় তুলে ধরা চেষ্টা করব। কোরবানির ঈদ সম্পর্কে সকল প্রশ্নের উত্তর এখানে পাবেন।
কোরবানি ঈদ কবে হতে যাচ্ছে, কোরবানির সম্পর্কে সকল তথ্য গুলো আলোচনা করা হবে। কোরবানি ঈদ কেন হয়, কেন কোরবানি ঈদের প্রয়োজন। কোরবানি ঈদের উপকারিতা। কোরবানি ঈদের অপকারিতা সম্পর্কেও বিশেষ ভাবে আলোচনা করা হবে।
সূচিপত্রঃ কোরবানি ঈদ কবে হতে যাচ্ছে তা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে তালিকা
- কোরবানি ঈদ কবে হতে যাচ্ছে
- কোরবানির ঈদ কবে ২০২৪
- কোরবানি দেওয়ার কারণ কি
- কোরবানি দেওয়ার নিয়ত কি
- কোরবানি দেওয়ার উপকারিতা
- কুরবানী না দেওয়ার অপকারিতা
- কোরবানি দেওয়ার সঠিক নিয়ম
- কোরবানি কয় ভাগে ভাগ করতে হবে
- কোরবানির উদ্দেশ্য কি
- সময় প্রতিবেদন শেষ কথা
কোরবানি ঈদ কবে হতে যাচ্ছে
কোরবানি ঈদ কবে হতে যাচ্ছে তা জানার জন্য সকলের অবগত থাকে। কোরবানি ঈদ সময় প্রেক্ষাপটে রোজার ঈদের পরে হয়ে থাকে। আমরা যেটাকে ঈদুল ফিতর বলি এইটা হল রোজার ঈদ। এই রোজার ঈদের পরপরই কোরবানি ঈদ তথা ঈদ উল আযহা অনুষ্ঠিত হয়। সময় দৃষ্টি দিক দিয়ে উল্লেখ করলে। আমাদের তারিখ অনুযায়ী কয়েকদিন আগে পিছে হয়ে থাকে। বিশেষ ক্ষেত্র বা দ্রষ্ট অনুযায়ী চাঁদ দেখার উপর নির্ভর। বিভিন্ন বিভিন্ন তারিখ কে হয়ে থাকে। মুসলিমরা বা আমরা চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল হওয়ায় ঈদ অনুষ্ঠিত করে।
কোরবানি ঈদ কবে হতে যাচ্ছে তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। বিশেষ করে সৌদি আরব তারা চাঁদ প্রথম দেখে। তাদের দেখা অনুযায়ী আমরা তাদেরকে অনুসরণ করি। আমাদের দেশ ছাড়া তাদের দেশ গুলোতে একদিন আগে চাঁদ উদয় হতে হয়। এই সকল কারণে আমরা খুবই সহজেই ঠিক করতে পারি। কবে ঈদ হবে কিনা। ২০২৪ সালে ঈদ কবে হবে এ নিয়ে আমরা আলোচনা করব। তবে আপনাদের মনের প্রশ্নগুলো আগে সংশোধন করে নেই। আপনারা যদি সময় বিশেষ লক্ষ্য করেন। তাহলে সব দিক দিয়ে চাদের উপর নির্ভর।
আরো পড়ুনঃ বেশিরভাগই জানেনা কুরআন সম্পর্কে যে পাঁচটি বিষয়
চাঁদের বিশেষ গুণের কারণে আমাদের দিনপঞ্জিকা বা ক্যালেন্ডার গুনতে সুবিধা হয়। সৌদি আরব তাদের ঈদ হবার একদিন পর থেকে আমাদের দেশে ঈদ অনুষ্ঠিত হয়। এই সকল ঈদ অনুষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্খিত ঈদ পালন করি। ঈদের দিনে সকল মানুষ খুবই খুশি ও হাস্যজ্জল থাকে। বছরের দুইটা ঈদ মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা সকল দুঃখ ভুলে একত্রে নামাজ আদায় করতে আসে। সেই ক্ষেত্রে কোরবানি ঈদ একই রকম হলেও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দিতে হয়।
কোরবানির ঈদ কবে ২০২৪
কোরবানির ঈদ কবে ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে। 17 জুন বাংলাদেশে ঈদ অনুষ্ঠিত হইবে। বাংলাদেশী ঈদ অনুষ্ঠিত হওয়ার একদিন আগে সৌদি আরব বা মধ্য দেশগুলোর ঈদ অনুষ্ঠিত হইবে। সৌদি আরব চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী ১৬ জুন এ অনুষ্ঠিত হইবে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের এখানে ১৭ জুন ঈদ অনুষ্ঠিত হবে। পর্যক্রমে একদিন পিছিয়ে আমরা ঈদ অনুষ্ঠিত করি। আমরা ঈদে সবাই খুবই সতর্কতার সাথে ঈদ অনুষ্ঠিত করব। ঈদ অনুষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক গুলো নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো মাথায় রাখবো।
কোরবানি দেওয়ার কারণ কি
কোরবানি ঈদ কবে হতে যাচ্ছে এই বিষয়ের কোরবানি দেওয়ার কারণ কি? মহান রাব্বুল আলামিন আল কোরআনে বলেছেন তিনটি জায়গায় কোরবানি দেওয়ার কথা। সেই কোরবানির মধ্যে একটা জায়গা রয়েছে পশু কোরবানির কথা। আর দুইটা জায়গায় রয়েছে সাধারণ ভাবনা। তাছাড়াও আমরা জানি ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম তার পুত্র হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালামকে কোরবানি দিতে গিয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা কোরবানি দিয়ে থাকি। হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লাম আমাদের জাতির পিতা।
কোরবানি দেওয়ার নিয়ত কি
কোরবানি দেওয়ার নিয়ত কি সে সম্পর্কে হলো, আল্লাহুম্মা তাকাব্বালাহু মিনকা-মেইন কুম`কামা তাকাব্বালতা মিন হাবিবিকা মোহাম্মদিও খালিলিকা ইব্রাহীম। এই বলে কোরবানি দিতে হয়। এই নিয়েত টা খুবই সোজা। আপনি সহজেই মুখস্ত করে রাখতে পারবেন। তবে এই নিয়েত একটি একজন ইমাম পাঠ করবে। তাছাড়াও যদি অন্য কোন ব্যক্তি কোরবানি দেয়, তাহার পাঠ করতে হবে। যদি কোন ব্যক্তি নিজে কোরবানি দিয়ে নিজেই জবাই করে। তাহলে নিয়েত টা একটু ভিন্ন হবে। কোরবানি দেওয়ার নিয়ত সম্পর্কে বুঝতে পারলেন।
কোরবানি দেওয়ার উপকারিতা
কোরবানি ঈদ কবে হতে যাচ্ছে এ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এই বিষয়ের উল্লেখ যোগ্য ভাবে কোরবানি দেওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলা হলো। কোরবানি দেওয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা নৈকট্য লাভ করা যায়। আমাদের জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লাম। আল্লাহ যখন ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম কে নিজের সন্তানকে কোরবানি দিতে বলেছিলো। তখন থেকে প্রচলিত পশু কোরবানি দেওয়া। আল্লাহর ইচ্ছায় তার নিজের সন্তানের পরবর্তীতে পশু কোরবানি করা হয়। এজন্য কোরবানি দেওয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তালার অশেষ নৈকট্য লাভ করা যায়।
কোরবানি দেওয়ার উপকারিতা মাধ্যমে আল্লাহকে খুশি করার এক বড় প্রচেষ্টা। হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লাম তার আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও ভরসার মাধ্যমে কোরবানি অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের জাতির পিতা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম। কোরবানি দেওয়ার সময় ও প্রেক্ষাপটে অনুসারে আমাদেরকে সঠিক নিয়মে কোরবানি পালন করতে হবে। কোরবানি ঈদের মাধ্যমে গরিবরা অনেক কিছু বন্টন পায়। যার মাধ্যমে তারা অনেক সুখি হতে পারে। তারা তাদের অভাবকে দূর করতে পারে।
কুরবানী না দেওয়ার অপকারিতা
কোরবানি ঈদ কবে হতে যাচ্ছে। এ সম্পর্কে উপরে আলোচনা করেছি। তবে টাইটেল অনুসারে কোরবানির না দেওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বলছি। আপনি যদি কোরবানি না দিয়ে থাকেন। তাহলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারবেন না। হয়তো আপনার ধন সম্পদ কমে যাবে। কোরবানি দেওয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করা যায়। কোরবানি না দিলে মানুষ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তার একটি বড় কারণ কোরবানি দিলে গরীব দুঃখীরা শান্তিতে খাদ্য বন্টন করতে পারে। এই সকল বিষয় দিক দিয়ে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
কোরবানি দেওয়ার সঠিক নিয়ম
কোরবানি দেওয়ার সঠিক নিয়ম হলো আপনাকে আল্লাহ তায়ালার নৈকত্য এর উদ্দেশ্য কোরবানি দিতে হবে। আপনি যদি সঠিক নিয়মে কোরবানি দিতে চান। তাহলে আপনার মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে ভালো ভাবে সবকিছু শুনুন। তার সঠিক কথা ও পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করুন। কখনো পশু নিয়ে দামাদামি করবেন না। আমি আর একটা কথা ভুলে গেছি শুধু যে গরু দিয়ে কোরবানি করতে হয়। এমন কোন বিষয় না আরো কিছু পশু রয়েছে সেগুলো কোরবানি করা যাবে। এ সকল বিষয় গুলো ইমাম সাহেবের কাছ থেকে ভালোভাবে শুনে নেবেন।
কোরবানি কয় ভাগে ভাগ করতে হবে
কোরবানি ঈদ কবে হতে যাচ্ছে এই বিষয়ের কোরবানি কয় ভাগে ভাগ করা হয়। কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করতে হয়। একটা ভাগ নিজেরা খেতে হয়। আরেকটি ভাগ ইচ্ছামতো আত্মীয়-স্বজনদেরকে খাওয়াতে হয়। আর একটা ভাগ গরীব মিসকিনদের মাঝে দান করতে হয়। এমন ভাবে উল্লেখ আছে কোরবানির নিয়ম। যদি কোন ব্যক্তি এগুলো কে অমান্য করে। তাহলে তার কোরবানি হবে না। এ সকল দিক দিয়ে মাংস বন্টন করার সময় আমাদের বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
কোরবানির উদ্দেশ্য কি
কোরবানির উদ্দেশ্য কি? কোরবানির উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন। যেকোনো কারণে আল্লাহ তাআলার কথাতে বাধ্য হওয়ার প্রমাণ। আল্লাহ তায়ালার জন্য সবকিছু করতে পারি। সব সময় প্রস্তুত বা প্রমাণস্বরূপ কোরবানি। কোরবানি হয়ে থাকে আল্লাহ তায়ালার কুদরত বা সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য। এজন্য কোরবানি দেওয়ার সময় আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি দিতে এগিয়ে যেন বিফলে না যায়। আপনি এত কষ্ট করে কোরবানি দিচ্ছেন যদি কোরবানিটা কবুল না হয়।
আরো পড়ুনঃ মুখের কালো দাগ দূর করার উপায়
কোরবানি ঈদ কবে হতে যাচ্ছে এই টাইটেলের সঙ্গপ্রদেশ অনুযায়ী কোরবানির উদ্দেশ্য কি তা নিয়ে বলেছি। আপনি যদি একটু অসতর্ক হন তাহলে আপনার কোরবানি কবুল না হতে পারে। এজন্য কোরবানি দেওয়ার সময় খুবই সতর্কতা অবলম্বন করবেন। কোরবানি দেওয়ার সময় যদি সতর্কতা অবলম্বন করেন। তাহলে আল্লাহর দরবারে আপনার কোরবানি কবুল হয়ে যেতে পারেন। কোরবানি কবুল হয়ে গেলে আল্লাহ তা'আলা নৈকট্য লাভ করা সবচেয়ে বড় সুযোগ। কখনো কোরবানি নিয়ে প্রতিযোগিতা করবেন না।
সকলের পছন্দ এমন পশু কোরবানি দিতে হবে। কোন রোগা পাতলা অসুস্থ পশু কোরবানি দেবেন না। কোরবানির মূল উদ্দেশ্য যখন আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্টি করা। সেজন্য কোরবানিকে লক্ষ্য করে সঠিক ভাবে মাংস বন্টন করবেন। যেভাবে বলেছি তিন ভাগে ভাগ করে মাংস বন্টন করবেন। সঠিক নিয়ম অনুযায়ী আপনি যদি মাংস বন্টন করেন। আর আপনার নিয়েত যদি ঠিক থাকে। তাহলে আপনি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন। এজন্য সর্বক্ষেত্রে আপনাকে ভালো কিছু উপলব্ধ করতে হবে।
সময় প্রতিবেদন শেষ কথা
সময় প্রতিবেদন এর পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি যদি সময় প্রতিবেদনের একজন নিয়মিত পাঠক হয়ে থাকেন। তাহলে নিয়মিত আমাদের এখানে পাঠ করার জন্য ধন্যবাদ। আমরা সর্বদা সঠিক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকে। আপনি চাইলে আমাদের এখানে জব করতে পারেন। বিশেষ ভাবে মাসিক সেলারিতে আপনাকে বেতন দেওয়া হবে। কোরবানি দেওয়া সম্পর্কে যে সকল বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সকল আলোচনার বিষয় গুলো মাথায় রাখবেন। দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। ইনশাআল্লাহ
কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব। যা প্রদত্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করে থাকে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url